সাকিব হোসেন পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দুমকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরিবাঁধের দু’টি স্লুইসগেটই এখন কৃষকের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্ন চাপের প্রভাব ও আষাঢ়ের টানা বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় তলিয়ে কয়েকশ’ হেক্টর জমির আউশ ফসল নস্ট ও আমনের চাষাবাদ মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
উপজেলার আংগারিয়া বন্দর সংলগ্ন পাউবো’র ওয়াপদায় এবং শ্রীরামপুর ইউনিয়নের গাবতলী স্লুইসগেট দু’টি ব্যবহার অযোগ্য ও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় ডুবে আছে ফসলের ক্ষেত। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নিস্কাশন অভাবে জলাবব্ধতায় আউশ ও আমনের চাষাবাদে কৃষকরা বার বার মার খাচ্ছে। চলতি মৌসুমের আউশ ও আমন ধানের আবাদ নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিন দুমকি গ্রামের কৃষক মোঃ জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, টানা বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার কারনে আউশ ফসল ও আমনের বীজতলা নস্ট হচ্ছে। এলাকার কৃষক মোঃ জাকির হোসেন জানান, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে আউশ ধানের ফসল হানীর আশঙ্কা ও বীজতলা ডুবে থাকায় রোপা আমনের বীজ সংকটের আশঙ্কায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন। পাউবোর স্লুইসগেট
দু’টির অব্যবস্থাপনা ও অকোজোঁ হয়ে বন্ধ থাকায় কৃষকদের চাষাবাদে চরম দুর্ভোগের অন্যতম কারন হয়ে দেখা দিয়েছে। পূর্ব কার্ত্তিকপাশা গ্রামের কৃষক রাজ্জাক হাওলাদার, মোঃ মোশারেফ হোসেন, আবুল হাসেম খা জানান, গাবতলী স্লুইসগেট খুলে না দিলে কৃষকদের ফসল উৎপাদন মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। কৃষকরা বার বার স্লুইসগেট দু’টি সচল ও খুলে দেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে ধর্ণা দিলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন। আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জলিশা ও সাতানীর কৃষকরা স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে স্লুইসগেট খোলার ব্যপারে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন সুবিধা হয়নি। অপরদিকে গাবতলীর স্লুইসগেটটি ও বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জরুরী ভিত্তিতে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। এবিষয়ে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন বলেন, পানি নিস্কাশনের জন্য দ্রুত স্লুইসগেট দুটি খুলে দেয়া দরকার। এজন্য পাউবো‘ কর্তৃপক্ষকে টেলিফোনে বার বার অনুরোধ জানানো হলেও এখন পর্যন্ত খোলার উদ্যোগ নেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো: ইজাজুল হক বলেন, কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত স্লুইসগেট
দুটি খুলে দেয়ার জন্য পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার অবহিত করা হয়েছে।