1. ueattupa@aurevoirmail.com : NAEWTRER168495NERTYTRY :
  2. wjvjyekk@bonsoirmail.com : NARETGR817617NERTHRTYHR :
  3. akmnazmuzsakib@gmail.com : Nazmus Sakib : Nazmus Sakib
  4. khairunnahar311984@gmail.com : কলাপাড়া পোস্ট :
  5. necharlenovo@gmail.com : Nechar Uddin : Nechar Uddin
  6. mdabdullahalnoman819@gmail.com : MD. ABDULLAH AL NOMAN : MD. ABDULLAH AL NOMAN
সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ রিপন, সম্পাদক হাফিজুর রহমান কলাপাড়ায় জেলে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য শঙ্কা: চায়না বুচনা জাল ধ্বংস করছে মাছের প্রজনন। কলাপাড়ায় এনসিপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: G7 দেশগুলোর ২০৩৫ সালের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ ঘোষণা, বাংলাদেশে ঝুঁকির প্রকল্প চালু কলাপাড়ায় মাদক সেবনের দায়ে আরো চার জনের ১৪ দিনের কারাদন্ড  মেয়েরা কখন এবং কেন রাগ করে? স্বপ্নের ঠিকানা এখন দুঃস্বপ্ন: ঘর, পানি ও স্বাস্থ্য-সবই অনিশ্চয়তায়

সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে

নাজমুস সাকিব
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭৬ জন দেখেছেন
Oplus_16908288

নাজমুস সাকিব

গাছতলার হাট নেই, মাঝির কণ্ঠে গান নেই
বাংলার গ্রাম একসময় ছিল প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আঁতুড়ঘর। গ্রামের মোড়ের পুরনো বটগাছের নিচে জমে উঠত হাট-বাজার। নৌকায় বসত ভ্রাম্যমাণ হাট। মাঝি বৈঠা চালাতে চালাতে গান ধরতেন-ও বাইয়া, নাও বাইওরে । কৃষকেরা ভোরবেলা মাঠে যেতেন, ঘামে ভিজে উঠত ধানক্ষেত। কিন্তু সেই দৃশ্য এখন স্মৃতিমাত্র।

আধুনিক বাজার, শপিং কমপ্লেক্স আর শহরমুখী জীবনের কারণে গ্রামে আর আগের মতো গাছতলায় হাট বসে না। নৌকার হাটও হারিয়ে গেছে নদীপথের ব্যস্ততায়। মাঝির কণ্ঠ থেকে হারিয়ে গেছে নৌকার গান। অন্যদিকে, কৃষিক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। একসময় কৃষি ছিল গ্রামের প্রাণ, অথচ এখন অনেকেই কৃষিকে অবহেলা করছে। তরুণরা কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, বিকল্প জীবিকার খোঁজে চলে যাচ্ছে শহরে।

এ পরিবর্তন শুধু অর্থনীতির নয়, সংস্কৃতিরও। হাট-বাজার, মাঝির গান, কৃষকের শ্রম-এসব শুধু গ্রামীণ জীবনের চিত্র নয়; এগুলোই আমাদের লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলোর হারিয়ে যাওয়া মানে আমাদের শেকড়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো।

স্থানীয় এক প্রবীণ কৃষক আফসোস করে বললেন
“আমরা ছোটবেলায় গাছের নিচে হাটে যেতাম, নৌকার হাটে গান শুনতাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা এসব দেখেই নাই। ঐতিহ্য হারাইতেছে।

আমরা কি এই ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনতে পারব? নাকি একদিন নতুন প্রজন্ম জানবেই না, বাংলার গ্রাম একসময় কত প্রাণবন্ত ছিল? আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। না হলে একদিন ইতিহাসের পাতায় হয়তো শুধু লেখা থাকবে- কখনো বাংলার গ্রামে গাছতলায় হাট বসত, মাঝি গান গাইত, কৃষক মাঠে ফসল ফলাত।

আপনার সোসাল একাউন্টে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Powered by ITNexBD