নতুন এক গবেষণায় ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে—মাত্র ৩০ দিন স্মার্টফোন রেডিয়েশনের সংস্পর্শে থাকলেই ব্যাপকভাবে ধ্বংস হতে পারে মস্তিষ্কের নিউরন বা কোষ! গবেষণাটি ইঁদুরের ওপর চালানো হলেও এর ফলাফল মানব মস্তিষ্কের জন্য ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আণুবীক্ষণিক পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট দেখা গেছে, স্মার্টফোনের বিকিরণ ইঁদুরের শ্রবণসংক্রান্ত মস্তিষ্ক অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য কোষ-মৃত্যুর সৃষ্টি করেছে।
এমন অঞ্চলে যা মানুষের বুদ্ধি, শ্রবণক্ষমতা এবং স্নায়বিক ভারসাম্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
গবেষকদের ভাষ্যমতে, “এত কম সময়ের মধ্যেই এত মারাত্মক কোষ ধ্বংস আগে কল্পনাও করা যায়নি। এই তথ্য প্রমাণ করে *স্মার্টফোন রেডিয়েশন নিঃসন্দেহে জীবিত টিস্যু ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে।”
বিশেষভাবে যাদের স্মার্টফোন দীর্ঘক্ষণ কানে লাগিয়ে কথা বলার অভ্যাস আছে, তাদের জন্য এই তথ্য রীতিমতো আতঙ্কজনক।
গবেষণায় এমন ইঙ্গিতও মিলেছে যে, দীর্ঘমেয়াদে এই কোষ ধ্বংস স্মৃতি দুর্বলতা, শ্রবণ সমস্যার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মানবদেহে মস্তিষ্কের কোষ একবার ধ্বংস হয়ে গেলে তা আর সহজে পুনঃসৃষ্ট হয় না, এ কারণে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে ঝুঁকি কেবল সম্ভাবনার বিষয় নয়—এটা বাস্তব বিপদ।
বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ব্যবহার এখন দৈনিক ৫ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে এই আসক্তি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
অভিভাবকদের এখনই সতর্ক না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মস্তিষ্কজনিত দুর্বলতায় আক্রান্ত হতে পারে, এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ—
📵 হেডফোন বা স্পিকারের মাধ্যমে কথা বলার অভ্যাস করুন
⏱️ টানা ব্যবহারের সময় সীমিত করুন
🛑 বিশ্রামহীন মোবাইল ব্যবহার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন
🧠 শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণ জরুরি
এই গবেষণা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি যেমন সুযোগ দেয়, তেমনি দেহে-বুদ্ধিতে ধ্বংস ডেকে আনতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো—আমরা কি সচেতন হবো, না প্রযুক্তির দাস হয়ে ধ্বংসের পথে হাঁটব?