নিজস্ব সংবাদদাতা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপুরন, পুনর্বাসনসহ আট দফা দাবি আদায়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা রবিউল আউয়াল অন্তরের নেতৃত্বে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার শঙ্কা নিয়ে কলাপাড়া থানায় জিডি করা হয়েছে। ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি সুপারভাইজর রাশেদুল ইসলাম সোমবার রাতে এই জিডি করেছেন। কলাপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারের পুনর্বাসন পল্লী ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য অলিউর রহমান জানান, অন্তরের নেতৃত্বে আট দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন আল্টিমেটামের সঙ্গে তাঁদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। তাঁদের সঙ্গে এনিয়ে কখনো কোন যোগাযোগ করা হয়নি। তিনি জানান, তাঁদের পুনর্বাসন পল্লীর সেমিপাকা ঘরের ও জায়গার দলিল পাওয়া, বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকদফা আলোচনা হয়েছে। সমাধানের এবং এর অগ্রগতি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে রবিউল আউয়াল অন্তর বার বার জনকন্ঠকে বলে আসছেন তিনি সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ও দেশের স্বার্থে, জনস্বার্থে ন্যায্য দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছেন। এখানে নিরাপত্তা বিঘ্নের কোন সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য গণ অধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ধানখালী ইউনিয়নের বাসীন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারর ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্ন সমস্যা এবং পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে আন্দোলন করে আসছেন। সবশেষ গত ২৮ আগস্ট কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রবিউল আউয়াল অন্তর। যেখানে আট দফা দাবি আদায়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। নইলে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগামী সড়ক ব্লকেড কর্মসূচিতে নামবেন। এর প্রেক্ষিতে গতকাল রাতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কায় কলাপাড়া থানায় জিডি করা হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম জানান, তারা বিষয়টি আগে থেকেই অবগত রয়েছেন। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছেন।