নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া
১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পুনর্বাসন পল্লীর ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ বাসীন্দারা আজ বুধবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বপ্নের ঠিকানা পল্লীর পরিচালনা কমিটির সভাপতি অলিউডর রহমান। তিনি বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নামে অতি সম্প্রতি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা রবিউল আউয়াল অন্তরের সড়ক ব্লকেড কর্মসূচির সাথে তাঁদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ইতিপূর্বে সে আমাদের অবহিত করে কোন কর্মকাণ্ড করেনি। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা ঘরের দলিল হস্তান্তর, কর্মসংস্থান, আবাসন পল্লীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তা সংস্কারসহ যৌক্তিক দাবিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক আলোচনা, মতবিনিময় সভা করেছি। এসব সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়ায় যথাযথ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা কে সামনে রেখে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবির সঙ্গে অযৌক্তিক এবং ব্যক্তিগত কিছু ইস্যুকে যুক্ত করে রবিউল আউয়াল অন্তর ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে যাচ্ছেন। যার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের সর্ব বৃহৎ পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম কে অস্থিতিশীল করে তুলছে বলে আমরা মনে করছি।’ এর কারণে সৃষ্ট কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য পুনর্বাসন পল্লীর কোন সদস্যরা দায়ী থাকবেন না বলে অলিউডর রহমান জানান। এসময় পুনর্বাসন পল্লীর বাসীন্দা মালেক হাওলাদার, হেলাল মৃধা, ইদ্রিস মোল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গণ অধিকার পরিষদের সহযোগী সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ধানখালীর বাসীন্দা রবিউল আউয়াল অন্তর আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে সাত দিনের সময় বেধে দিয়ে সড়ক ব্লকেড কর্মসূচির আল্টিমেটাম দেন। এর প্রেক্ষিতে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সিকিউরিটি সুপারভাইজর রাশেদুল ইসলাম সোমবার রাতে কলাপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার কারণে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা আজ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।