নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তিকে ঘিরে গুরুতর প্রতারণার অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী ইয়াদুল ইসলাম তুষার এবং সদস্য সচিব মোঃ আমিরুল ইসলাম ফাহিম স্বাক্ষরিত এক সতর্কতামূলক বিবৃতিতে জানানো হয়, মেহেদী হাসান নিজেকে কখনো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সদস্য, আবার কখনো ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছেন। অথচ দলীয়ভাবে তার সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মেহেদী হাসান মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কলাপাড়া শহরে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নিজেকে বিভিন্ন নেতার ‘ঘনিষ্ঠ’ এবং প্রভাবশালী অফিসারদের ‘চেনা লোক’ বলে পরিচয় দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছেন।
কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতারা আরও জানান, তারা ব্যক্তিগতভাবে তার একাধিক প্রতারণার ঘটনার সালিসি করেছেন এবং তাকে বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন। এমনকি তার বাবাকে সাক্ষী রেখে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার মুচলেকাও নেওয়া হয়। তবুও মেহেদী হাসান প্রতারক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, “বিএনপি ও ছাত্রদল প্রতারক, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। যেহেতু মেহেদী হাসান ছাত্রদলের কেউ নন, সেহেতু তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমরা সাধারণ জনগণ এবং প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই—কেউ যদি তার দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেওয়া হোক।