1. akmnazmuzsakib@gmail.com : Nazmus Sakib : Nazmus Sakib
  2. khairunnahar311984@gmail.com : কলাপাড়া পোস্ট :
  3. necharlenovo@gmail.com : Nechar Uddin : Nechar Uddin
  4. nex@farabiblog.com : Nex2 :
  5. mdabdullahalnoman819@gmail.com : MD. ABDULLAH AL NOMAN : MD. ABDULLAH AL NOMAN
সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলনের কলাপাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের অব্যাহতি কলাপাড়ায় রিংবাঁধ দিয়ে নদীতীরসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল দখল পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রোমাঞ্চকর প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় অবৈধ পশু জবাইয়ের দায়ে এক ব্যক্তির কারাদণ্ড পটুয়াখালী- ৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন এবিএম মোশাররফ হোসেন কলাপাড়ায় খালের সীমানা চিন্তিত করন সহ ৭ দফা দাবি ডেংগু সচেতনতা বৃদ্ধিতে শিশুদের নিয়ে আমরা কলাপাড়াবাসী সংগঠনের সচেতনতা বৈঠক গাঁজা পরিবহনের দায়ে যুবকের ১ মাসের কারাদণ্ড কয়লা দূষণ বন্ধের দাবি ও জলবায়ু ঋণ বাতিলের দাবিতে কলাপাড়ায় মানববন্ধন সাইকেল র‍্যালী

সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে

নাজমুস সাকিব
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৮১ জন দেখেছেন
Oplus_16908288

নাজমুস সাকিব

গাছতলার হাট নেই, মাঝির কণ্ঠে গান নেই
বাংলার গ্রাম একসময় ছিল প্রাণবন্ত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের আঁতুড়ঘর। গ্রামের মোড়ের পুরনো বটগাছের নিচে জমে উঠত হাট-বাজার। নৌকায় বসত ভ্রাম্যমাণ হাট। মাঝি বৈঠা চালাতে চালাতে গান ধরতেন-ও বাইয়া, নাও বাইওরে । কৃষকেরা ভোরবেলা মাঠে যেতেন, ঘামে ভিজে উঠত ধানক্ষেত। কিন্তু সেই দৃশ্য এখন স্মৃতিমাত্র।

আধুনিক বাজার, শপিং কমপ্লেক্স আর শহরমুখী জীবনের কারণে গ্রামে আর আগের মতো গাছতলায় হাট বসে না। নৌকার হাটও হারিয়ে গেছে নদীপথের ব্যস্ততায়। মাঝির কণ্ঠ থেকে হারিয়ে গেছে নৌকার গান। অন্যদিকে, কৃষিক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। একসময় কৃষি ছিল গ্রামের প্রাণ, অথচ এখন অনেকেই কৃষিকে অবহেলা করছে। তরুণরা কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, বিকল্প জীবিকার খোঁজে চলে যাচ্ছে শহরে।

এ পরিবর্তন শুধু অর্থনীতির নয়, সংস্কৃতিরও। হাট-বাজার, মাঝির গান, কৃষকের শ্রম-এসব শুধু গ্রামীণ জীবনের চিত্র নয়; এগুলোই আমাদের লোকসংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলোর হারিয়ে যাওয়া মানে আমাদের শেকড়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ানো।

স্থানীয় এক প্রবীণ কৃষক আফসোস করে বললেন
“আমরা ছোটবেলায় গাছের নিচে হাটে যেতাম, নৌকার হাটে গান শুনতাম। এখনকার ছেলেমেয়েরা এসব দেখেই নাই। ঐতিহ্য হারাইতেছে।

আমরা কি এই ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনতে পারব? নাকি একদিন নতুন প্রজন্ম জানবেই না, বাংলার গ্রাম একসময় কত প্রাণবন্ত ছিল? আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই গ্রামীণ ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। না হলে একদিন ইতিহাসের পাতায় হয়তো শুধু লেখা থাকবে- কখনো বাংলার গ্রামে গাছতলায় হাট বসত, মাঝি গান গাইত, কৃষক মাঠে ফসল ফলাত।

আপনার সোসাল একাউন্টে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Powered by ITNexBD