1. ueattupa@aurevoirmail.com : NAEWTRER168495NERTYTRY :
  2. wjvjyekk@bonsoirmail.com : NARETGR817617NERTHRTYHR :
  3. akmnazmuzsakib@gmail.com : Nazmus Sakib : Nazmus Sakib
  4. khairunnahar311984@gmail.com : কলাপাড়া পোস্ট :
  5. necharlenovo@gmail.com : Nechar Uddin : Nechar Uddin
  6. mdabdullahalnoman819@gmail.com : MD. ABDULLAH AL NOMAN : MD. ABDULLAH AL NOMAN
পাতায় পাতায় ঘাম, গল্পে গল্পে জীবন চা-বাগানের সেই মানুষগুলো
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মহিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ রিপন, সম্পাদক হাফিজুর রহমান কলাপাড়ায় জেলে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য শঙ্কা: চায়না বুচনা জাল ধ্বংস করছে মাছের প্রজনন। কলাপাড়ায় এনসিপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সংস্কৃতির মেলবন্ধন গ্রামীণ ঐতিহ্য আজ সংকটে কলাপাড়ায় আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস পালিত পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র: G7 দেশগুলোর ২০৩৫ সালের মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ ঘোষণা, বাংলাদেশে ঝুঁকির প্রকল্প চালু কলাপাড়ায় মাদক সেবনের দায়ে আরো চার জনের ১৪ দিনের কারাদন্ড  মেয়েরা কখন এবং কেন রাগ করে? স্বপ্নের ঠিকানা এখন দুঃস্বপ্ন: ঘর, পানি ও স্বাস্থ্য-সবই অনিশ্চয়তায়

পাতায় পাতায় ঘাম, গল্পে গল্পে জীবন চা-বাগানের সেই মানুষগুলো

মো: আবদুল্লাহ আল যোবায়ের
  • প্রকাশিত সময়ঃ রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ২৮৪ জন দেখেছেন

সবুজের সমারোহে ঘেরা চা বাগানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভাবছি কত শ্রমিকের ঘামে দাঁড়িয়ে হাসে
প্রকৃতির সুরেলা মেলোডি! চা বাগানের সৌন্দর্য এবং সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলছেন আবদুল্লাহ আল যোবায়ের

সূর্য ওঠার আগে ঘর ছাড়েন, সন্ধ্যার আগে ফেরেন না। গায়ে কুয়াশা, হাতে ঝুড়ি ওরাই এই চা বাগানের নীরব কারিগর।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের সবুজ পাহাড়ঘেরা চা-বাগান গুলো যেন শুধু সৌন্দর্যের নয়, কষ্টেরও জীবন্ত নিদর্শন। এখানকার হাজারো চা-শ্রমিক প্রতিদিন সূর্য উঠার আগেই শুরু করেন তাঁদের কর্মযাত্রা। চোখ ধাঁধানো সবুজ পাতার নিচে জমে থাকে শত শত পরিবারের ঘাম, সংগ্রাম আর একরাশ অপূর্ণ স্বপ্ন। সকাল থেকে সন্ধ্যা জীবনযুদ্ধের গল্প: চা-বাগানের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলেও তাঁদের মজুরি এখনো ১৭০ টাকা থেকে খুব বেশি না। নারী-পুরুষ উভয়েই সমান পরিশ্রম করেন — কেউ পাতার ঝুড়ি টানেন, কেউ ডালপালা ছেঁটেন।

শান্তি দাসী, বয়স ৪২, এই বাগানে কাজ করছেন অনেক বছর। তিনি বলেন: সকাল ৬টায় উঠে যাই বাগানে। রোদ-বৃষ্টি কিছু দেখি না। পাতায় পাতায় ঘাম ফেলি। মাস শেষে যা পাই, তা দিয়ে ঠিকমতো চালও হয় না।

জীবনের ছায়াপথে — স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংকট: বাগানপাড়ার ছোট ছোট ঘরগুলোতে নেই স্বাস্থ্যসেবা, নেই কোন মানসম্মত স্কুল।
চা-শ্রমিকদের বেশিরভাগই পুষ্টিহীনতায় ভোগেন। কোনো বড় অসুস্থতা এলে শহরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য নেই। সরকারি হাসপাতালে সুযোগ পেলেও চিকিৎসা পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।

শিক্ষার আলো যেখানে ম্লান: বাগানের শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার হার কম। অনেকে কাজের চাপ আর দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। তবে আশার কথা — কিছু বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্থানীয় তরুণেরা এই শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রকল্প শুরু করেছেন।

পরিবর্তনের আশা: সরকারি উদ্যোগে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের কথা বলা হলেও বাস্তবে তার প্রভাব কম। ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থানের উন্নয়ন ও শিক্ষার সুযোগ — এগুলোর ব্যবস্থা ছাড়া পরিবর্তন সম্ভব নয়। চা শ্রমিকরা শুধুই শ্রমিক নন, তাঁরা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়নই এগিয়ে যাওয়া। শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান শুধু ভ্রমণপিপাসুদের নয়, মানবিক চোখেও দেখার বিষয়। পাহাড়, সবুজ, পাতা আর কুয়াশার ভেতর লুকিয়ে আছে মানুষের জীবন; যাদের কষ্টের গল্প তুলে ধরা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

লেখক
শিক্ষার্থী
শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ

আপনার সোসাল একাউন্টে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Powered by ITNexBD