সোমবার বিকেলে কর্মবিরতির অংশ হিসেবে এক মানববন্ধনের আয়োজন করার কথা ছিল। তবে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাদের অনুরোধে ফটোগ্রাফাররা কর্মসূচি বাতিল করে দেন।
এই ঘোষণার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ঘিরে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় ওঠে। অনেকেই সৈকতের স্টুডিওগুলো বন্ধের পক্ষে মত দেন এবং বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। সাধারণ মানুষরা মনে করেন, ফটোগ্রাফারদের অনিয়ম ও পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল।
অন্যদিকে কুয়াকাটার ফটোগ্রাফাররা যেমন মোকলেচুর রহমান বাবু, কাওসার, মনির প্রমুখ বলেন, আগে কিছু নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থাকলেও বর্তমানে তারা সততা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করছেন। তাদের দাবি, এখন আর কোন ফটোগ্রাফার পর্যটকদের হয়রানি করছে না। তারা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, সৈকতের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মতে, স্টুডিও মালিকদের কমিশন বানিজ্য বন্ধ হলে ক্যামেরাম্যানদের মধ্যে সেবার মান আরও বাড়বে এবং পর্যটকদের হয়রানি হ্রাস পাবে।