নাজমুস সাকিব, কলাপাড়া
সমুদ্রের আহ্বানে আমরা কলাপাড়াবাসী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা কুয়াকাটা এ শ্লোগানকে সামনে রেখে, ২৮-২৯ আগস্ট, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কলাপাড়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাপাড়াবাসী আয়োজন করেছিল এক প্রাণবন্ত আনন্দ যাত্রা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া থেকে রওনা হয় সদস্যদের দল। পথচলায় হাসি, গান, খুনসুটি আর আড্ডা যেন যাত্রাটিকে আরও আনন্দময় করে তোলে। প্রতিটি মূহূর্ত যেন সঞ্চার করে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা এবং স্বেচ্ছাসেবী চেতনার উচ্ছ্বাস।
বিকেল ৩টায় কুয়াকাটা ড্রিম প্যালেসে পৌঁছে সদস্যরা মেতে ওঠে আড্ডা ও ফটোসেশনে। সাগরের হাওয়া, সোনালি রোদ আর হাসির মুখগুলো একসাথে মিলেমিশে তৈরি করে এক মনোরম দৃশ্য।
রাত ৮টা। সমুদ্রের ছায়া ও ঢেউয়ের গানকে সঙ্গী করে শুরু হয় গানের আড্ডা। উপস্থিত সাংস্কৃতিক কর্মী মোস্তফা জামান সুজন, জেমস জানিব, তানজিল জামান জয় ও সাগর রায় তাদের সুর আর ছন্দে মুগ্ধ করে সবাইকে। সঙ্গীতের মূর্ছনায় রাতের আকাশও যেন আনন্দে ভরে ওঠে।
শুক্রবার সকাল। সকালের প্রথম আলোতে শুরু হয় ফুটবল খেলা। সদস্যরা সমুদ্র সৈকতে দম ফেলার সুযোগ নিয়েই খেলায় অংশ নেন। খেলোয়াড় ও দর্শক উভয়ের মধ্যে আনন্দ আর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। এরপর সাগরে গোসল করে সবাই সতেজ হয়।
বিকেল পর্যন্ত চলে আড্ডা, লটারি ড্র এবং মজার খেলা “যেমন খুশি তেমন নাচো”, যেখানে সবাই নিজের ছন্দে আনন্দ প্রকাশ করে। দুপুরে একসাথে ভোজন শেষে শুরু হয় ফিরে যাওয়ার যাত্রা, কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে। এ দুই দিনের আনন্দ যাত্রার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ পরিষদের সদস্যদের আলোচনা সভা, যেখানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নাজমুস সাকিব এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন প্রথম সভাপতি শাহরুল ইসলাম লিটন, সাবেক সভাপতি আল-ইমরান, এবং সক্রিয় সদস্য নেছার উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম। সভায় চলমান কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগ নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।
দুদিনের এই আনন্দ যাত্রা সদস্যদের চোখে আনন্দ, মুখে হাসি এবং মনকে নতুন উদ্দীপনায় ভরে দিয়েছে। তারা মনে করেন- এ ধরনের আয়োজন শুধু বিনোদন নয়, বরং পারস্পরিক সম্পর্ককে দৃঢ় করে এবং স্বেচ্ছাসেবী কর্মকাণ্ডে নতুন শক্তি যোগায়।