বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘যেখানে পারিবারিক বন্ধনই এখন ঠুনকো হয়ে গেছে। অহরহ ভাই-ভাই, ভাই-বোন, বাবা-মা কারো না কারো সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্ব লেগেই আছে। সহিংসতা পর্যন্ত ঘটছে। সেখানে বংশের দুই শ’ বছরের সাত পুরুষের বন্ধনকে সকল প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। বন্ধনকে অটুট রাখা। তাদের নাম পরিচিতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। তিন পুরুষের হাজার হাজার পরিবারের সদস্যদের এক সঙ্গে উপস্থিত করে আত্মীয়তার বন্ধনকে দৃঢ় করার এই উদ্যোগ আমাদের কাছে অনুসরণীয়। অনুকরণীয় বটে।’
জনাব মোশাররফ প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমি তো আমার বাবার বাবা কে- তা এই মুহূর্তে না জেনে বলতে পারছি না। আপনারা সেখানে সাত পুরুষের নাম জানার সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের সিকদার পরিবারের পারিবারিক বন্ধন দেখে আমি অভিভূত। আগামীর কলাপাড়া গড়তে সকলের এমন ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়তেও দেশবাসীর এমন ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।’
কলাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী সিকদার পরিবারের ঈদ পরবর্তী মিলনমেলায় মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিকদার পরিবারের কৃতিমান মানুষ হাজী হুমায়ুন সিকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি গণমাধ্যম কর্মী এসএম মোশাররফ হোসেন সিকদার।
অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিকদার পরিবারের স্বজন বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আহসান হাবিব মিলন, ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির উদ্দিন, শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক আব্দুল করিম মোল্লা, চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এসএম মকবুল হোসেন, কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হক মুন্সী, বিএনপি নেতা গাজী মো. ফারুক, সিকদার পরিবারের সদস্য হাসানুজ্জামান সিকদার, সিকদার আব্দুর রব মাস্টার, জাকির হোসেন সিকদার, আবু জাফর সিকদার।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এসএম জাকির হোসেন সিকদার ও প্রভাষক মুহাম্মদ রেজাউল করিম কেনান।
সিকদার পরিবারের বন্ধনকে আকড়ে রাখার সেতু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আলিফ ফাউন্ডেশন’-এর সভাপতি এসএম মোশাররফ হোসেন মিন্টু সিকদার জানান, ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সাত পুরুষকে সকল প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই বংশের প্রবীণ থেকে কিশোরদের চেনানো হয়েছে সাত পুরুষের কর্মকাণ্ড। পারিবারিক বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। পারিবারিক বিরোধ তো দূরের কথা, বংশগত বিরোধে কখনো জড়ানো যাবে না এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু সিকদারদের বন্ধন নয়, এই বন্ধনের মধ্য দিয়ে কলাপাড়ার সমাজ ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান তারা।’
তাদের গড়ে তোলা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কলাপাড়ার সমাজ ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নকে আরো এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ়তা ব্যক্ত করলেন জনাব মোশাররফ হোসেন।
সিকদারদের মিলনমেলার এই অনুষ্ঠান ছিল বর্তমান অস্থির সমাজ ব্যবস্থার জন্য এক অনুকরণীয় দিক। সবার কাছে বিষয়টি প্রশংসা কুড়িয়েছে।