কলাপাড়া প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসের গুনী শিক্ষক নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগের সাথে দ্বিমত পোষন করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রেরিত তালিকাকে মূল্যায়িত করার কথা জানান কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জাতি গঠনে অবদানের স্বীকৃত স্বরূপ সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষকদের উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস-২০২৫ এ গুনী শিক্ষক পদক প্রদানের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বাছাই প্রক্রিয়া হিসাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সকল শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করবে। তাদের কাছ থেকে আবেদনের প্রেরিক্ষিতে একটি তালিকা প্রনয়ের মাধ্যমে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার গ্রহন করে উপজেলা শিক্ষা অফিস একজন প্রধান শিক্ষক, একজন সহকারী শিক্ষকসহ মোট দুইজন গুনী শিক্ষকের নাম মনোনায়ন করে জেলা কার্যালয়ে প্ররন করবেন। পরবর্তীতে জেলা অফিস মূল্যায়িত করে বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রেরন করবেন। নির্বাচিত প্রতিজন গুনী শিক্ষক সম্মাননা হিসাবে দুই লক্ষ টাকা, ক্রেস্ট এবং সনদ প্রদান করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রথমিক শিক্ষক জানান, কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সকল শিক্ষকদের বিষয়টি অবহিত করেনি। সাক্ষাৎকার গ্রহন ছাড়াই দুইজন শিক্ষকের নাম জেলা অফিসে প্রেরন করেছেন। এক্ষেত্রে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহিদা বেগমের ইচ্ছা মূল্যায়িত করেছেন।একজন প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে তিনি পরিচালিত হচ্ছেন বলে তারা দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিদা বেগমকে মুঠো পোনে কল দিলে জেলায় মিটিংয়ে রয়েছেন পরে কথা বলবেন। এরপর একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও কল রিসিভ করেননি। এক সময় মুঠোফোন বন্ধ করে রাখেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসীন সাদেক বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসা থেকে দু’জন শিক্ষকের নামের তালিকা আমার কাছে পাঠানো হলে আমি আনুমোদন দিয়েছি। গুনী শিক্ষক বাছাইয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করা না হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রহন করা হবে।