বাবা ভালোবাসা, ত্যাগ ও সাহসিকতার প্রতীক
আজ ১৫ জুন, রোববার—বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাবা দিবস (Father’s Day)। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিনটি বিশ্বের নানা দেশে উদযাপন করা হয় বাবাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে। এ বছরও নানা আয়োজনে, সামাজিক মাধ্যমে আবেগঘন পোস্ট ও পারিবারিক উদযাপনের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন মানুষ।
বাবা আমাদের জীবনের প্রথম ছায়া, যিনি শত কষ্টেও পরিবারকে আগলে রাখেন। মায়ের মতো বাবার অবদানও অমূল্য—তবে অনেক সময় তা নিরবে ঘটে যায়। বাবা হচ্ছেন সেই মানুষ, যিনি নিজের স্বপ্নকে পাশে সরিয়ে রেখে সন্তানের ভবিষ্যতের স্বপ্ন গড়ে তোলেন।এই দিনটি সেই নিঃশব্দ যোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি সুযোগ।
বিশ্ব বাবা দিবসের সূচনা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯১০ সালে। ওয়াশিংটনের সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারী তাঁর বাবার স্মরণে প্রথম বাবা দিবস পালনের উদ্যোগ নেন। ধীরে ধীরে এই প্রথা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ১৯৭২ সালে এটি যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।
বাংলাদেশেও দিনটি এখন অনেকটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, ভিডিও ও নানা সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করছে। বাবাকে নিয়ে লেখা কবিতা, চিঠি কিংবা ছোট্ট উপহারেও প্রকাশ পাচ্ছে সন্তানদের ভালোবাসা।
এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—শুধু একটি দিন নয়, সারা জীবন জুড়েই বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা দেখাতে হবে।অনেকেই হয়তো বাবাকে প্রতিদিন বলতে পারেন না ‘ভালোবাসি’, ‘ধন্যবাদ’ কিংবা ‘তুমি আমার জীবনের বটবৃক্ষ’। আজকের দিনটি হতে পারে সেই অনুভূতির প্রকাশের সেরা মুহূর্ত।
“বাবা শুধু একজন মানুষ নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান।”
“বাবা মানেই নির্ভরতার নাম। সন্তান যত বড়ই হোক, বাবার ছায়া চায়।”
আজকের দিনে মনে রাখি—বাবার ভালোবাসা নিঃশব্দ হলেও তার শক্তি অমিত।বিশ্ব বাবা দিবসে পৃথিবীর সব বাবাকে জানাই শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সালাম